ডেস্ক নিউজ : চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান এবং দূতাবাস উপ-প্রধান মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের উপ-প্রধান মাসুদুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের জীবনের উপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান তার বক্তব্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে তার চারিত্রিক বিভিন্ন গুণাবলীর দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল একাধারে ছিলেন অসীম সাহসী, দক্ষ ক্রীড়াবিদ ও বিচক্ষণ সংগঠক। এছাড়াও তিনি নিজেকে দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ফুটবল হকি, ক্রিকেটসহ অন্যান্য ক্রীড়ার প্রসারে ও উন্নয়নে শহীদ শেখ কামাল বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, শহীদ শেখ কামালের দক্ষতা ও জীবনাদর্শ সব সময় যুব সমাজের কাছে একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা ও অদম্য স্পৃহার একজন মহীয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামের পিছনে তার অনুপ্রেরণা আমাদের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আগরতলা মামলার প্যারোলের বিরোধিতা করে বঙ্গমাতা সাহসিকতাপূর্ণ পদক্ষেপ সকলেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণের পিছনে বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জাতি সারাজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রদূত আরেও বলেন, বঙ্গমাতা সকল নারী জাতির প্রেরণার উৎস এবং ওনার রেখে যাওয়া আদর্শ আমাদের সব সময় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
উল্লেখ্য যে, দিনটি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসের মিলনায়তন পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনাদর্শ বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।